Haute couture ধারণাটি তার সবচেয়ে পরিশীলিত সংস্করণে ফ্যাশন জগতের অংশ। Haute couture এর মূল নীতি হল টেক্সটাইল শিল্পের প্রক্রিয়ার বাইরে পোশাক তৈরি করা। এর মানে হল যে একটি পোষাক এই যোগ্যতা অর্জন করে যখন এটি তার উত্পাদনের সমস্ত দিক (ডিজাইন, ফিনিস, কাপড়ের পছন্দ এবং সেলাই) হস্তশিল্পে তৈরি করা হয়।
ফরাসি বংশোদ্ভূত একটি ধারণা
Haute couture পেশাদার (একটি শব্দ যা ফরাসি haute couture থেকে এসেছে) হল ফ্যাশন ডিজাইনার, যারা ক্লায়েন্টের অর্ডারের উপর ভিত্তি করে একটি পোশাক তৈরি করে। কমিশন করা পোশাকটি একটি বিশেষ ওয়ার্কশপে তৈরি করা হয় এবং ক্লায়েন্টকে অবশ্যই একটি সিরিজ পরীক্ষা করতে হবে (শারীরবৃত্তীয় পরিমাপ, রঙের সমন্বয় বা তাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে স্কেচ তৈরি করা)।
Haute couture ডিজাইনারকে অবশ্যই একজন ক্লায়েন্টের অনুরোধে উপস্থিত থাকতে হবে এবং যে ইভেন্টে একটি Haute couture পোশাক পরা হবে (একটি গালা, একটি বিবাহ বা একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান) তা মূল্যায়ন করতে হবে। এইভাবে, চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য বেশ কয়েকটি দিক একত্রিত করতে হবে: পোশাকের নান্দনিক মান, ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত শৈলী এবং পোশাকটি যেখানে পরিধান করা হবে।
Haute couture এর দুনিয়া
Haute couture-এর প্রযুক্তিগত পরামিতিগুলি হল অভিজাত, যেহেতু তৈরি করা পোশাকগুলি পরিধানের জন্য সাধারণ নয়, পোশাকগুলি যা ব্যাপকভাবে তৈরি করা হয় এবং সামগ্রিকভাবে জনসংখ্যার জন্য উদ্দিষ্ট।
Haute couture-এ বিশেষজ্ঞ ফ্যাশন হাউসগুলি উচ্চ-মানের কাপড়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং উচ্চ ক্রয় ক্ষমতা সহ ক্লায়েন্টদের লক্ষ্য করে, যেহেতু তারা একচেটিয়া পোশাক। এই কারণে, এই বিশ্ব গ্ল্যামার, বিলাসিতা এবং জনসংখ্যার একটি অত্যন্ত সীমাবদ্ধ খাতের সাথে জড়িত।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই সেক্টরটি 19 শতকে প্যারিসে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিল, কারণ এই শহরটিকে ফ্যাশনের রাজধানী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রথম ডিজাইনাররা তাদের সৃষ্টিকে শৈল্পিক বলে মনে করেছিলেন এবং তাদের নিজস্ব স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেছিলেন। এই অর্থে, একটি Haute couture পোষাক সৃষ্টি আর একটি ড্রেসমেকার বা একটি সীমস্ট্রেস দ্বারা সঞ্চালিত হয় না, বরং এটি একটি খাঁটি স্রষ্টা যিনি একটি পোশাক তৈরি করেছিলেন।
সৃষ্টি প্রক্রিয়া
প্রথম ধাপ হল ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পরিমাপ নেওয়া এবং পোশাকের ছাঁচ তৈরি করা (সাধারণত ক্লায়েন্টকে তিনটি পরিমাপ করা হয় এবং এগুলি তাদের নিজের শরীরে তৈরি করা হয়)। তারপর কাপড় কাটা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের সেলাই ব্যবহার করা হয় (বাটনহোল, লুকানো, কাটা, ওভারকাস্ট বা আলগা সেলাই, অন্যদের মধ্যে)। কিছু ক্ষেত্রে, কিছু এমব্রয়ডারি বা লেইস কৌশল ব্যবহার করা হয়। উত্পাদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে, পোশাকের হেম কাটা হয় এবং ক্লায়েন্টের সাথে তার চূড়ান্ত অভিযোজন।